কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ - কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
কানাডা ভিসা ফি ফর্ম বাংলাদেশ থেকে কানাডার যাওয়ার জন্য ফর্ম আবেদন করার
সকল নিয়ম কারণ জানবো আমরা। আপনি যদি ভ্রমণের জন্য অথবা আপনার কর্মের জন্য
কানাডাতে যেতে চান তাহলে আপনাকে ভিসা পাওয়ার জন্য যে সকল কাজ করতে হবে।
সে সকল সম্পর্কে আমরা জানবো। এর জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন
করতে হবে। আমি নিচে ওয়েবসাইটটির নাম বলে দিব সে ওয়েবসাইটের ভিতরে গিয়ে আপনাকে
কানাডা ভিসার ফি ফর্ম বাংলাদেশ এ আবেদন করতে হবে।
পেজ সূচিপত্রঃকানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ - কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভিসা পাওয়ার সকল ধরনের প্রসেস
বলে দেবো এই পোস্টে। তো মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনার কানাডা ভিসার
জন্য ফরম আবেদন করতে আর কোন সমস্যা থাকবে না। তো চলুন শুরু করা যাক কিভাবে আমরা
কানাডা ভিসার জন্য ফরম পূরণ করব বাংলাদেশ থেকে।
এর জন্য আমাদের IRCC এই ওয়েবসাইটটিতে থেকে অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
তারপর আপনার বায়োমেট্রিক্স জমা দেওয়া এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারে
অংশগ্রহণ করতে হবে। আবেদন অনলাইনে করার পর এটি সম্পূর্ণ হতে সময় লাগতে পারে ২
থেকে ৩ মাস। এই দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আপনি যে আবেদনটি করেছেন সেটা সম্পূর্ণ
হয়ে যাবে।
আপনি চাইলে ঢাকার গুলশান দুইয়ে অবস্থিত বি এফ এস গ্লোবাল সেন্টারে আপনার আবেদনটি
জমা দিতে পারেন। আপনি তাদের ঠিকানাতে গিয়ে আবেদনটি জমা দিতে পারেন। আপনার ভিসার
ফরম সম্পন্ন হওয়ার জন্য আপনার ফর্মে যে ইনফরমেশন গুলো দিতে হবে সেগুলো সঠিকভাবে
দিলে আপনি খুব সহজে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।
অথবা আপনি নিজে এগুলো কিছু করতে ভয় মনে করেন অথবা এরকমটা মনে করেন যে আপনি করতে
পারবেন না অথবা কোন জায়গায় ভুল হতে পারে এরকম কিছু যদি মনে করেন তাহলে আপনি
অভিজ্ঞ কোন কারো সাহায্য নিয়ে। তার কাছ থেকে পরামর্শ করে আপনি আবেদনটি করতে
পারেন। তাতে দেখা যায় কি তার আগের যেই অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এতে আপনার আবেদনটি করতে অনেক সুবিধা হবে আবেদনে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে
না। কানাডা ভিসায় আবেদন করতে আপনার 3500 থেকে 4000 টাকা খরচ হতে পারে সর্বোচ্চ।
এই খরচের মধ্যে আপনি আবেদনটি সম্পন্ন করতে পারবেন সঠিকভাবে।
কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় - কি কি কাজ করতে হবে কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য
সকল কিছু জানবো আজকের এই পোস্টে আমরা। কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু
সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। সেগুলো কি কি করতে হবে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করব তো
চলুন শুরু করা যাক কিভাবে আমরা কানাডা ভিসা পাব সে সম্পকে।
আপনাকে কানাডা ভিসা আবেদনের আগে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কি কারণে কানাডা যেতে
চাচ্ছেন কোন পেশাতে কানাডাতে যেতে চাচ্ছেন। যেমন ধরেন স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট
ভিসা, ওয়ার্ল্ড ভিসা। আপনি যে দেশের মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন সেটি আগে আপনাকে
নির্ধারণ করে নিতে হবে যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে শিক্ষাগত একটি যোগ্যতা থাকতে হবে। কেননা আপনি সেখানে যেতে
চাচ্ছেন পড়ালেখার জন্য। আবার ওয়ার্ক ভিসা ওয়ার্ক ভিসা বলতে আমরা অনেকেই বুঝে
গেছি যে বিভিন্ন কাজের জন্য আমরা বিদেশে যাই সেটাকে বলে ওয়ার্ক ভিসা। আপনি যদি
কোন একটি কাজের জন্য কানাডা যেতে চান তাহলে আপনাকে work ভিসা আবেদন করতে
হবে।
টুরিস্ট ভিসা টুরিস্ট ভিসা বলতে মূলত ভ্রমণের জন্য আমরা যারা যায় তাদেরকে বলে
টুরিস্ট ভিসা। যারা আমরা কিছুদিন ভ্রমণের জন্য অন্য দেশে যেতে চাই সে সকল ভিসা
বলা হয় টুরিস্ট ভিসা আমার টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে কিছুদিনের জন্য অন্য দেশে যেয়ে
ভ্রমণ করে আসতে পারি। তো এখন জানবো ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে ভিসা হাতে পেতে
হলে আমাদের কি কি থাকতে হবে।
যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে কোন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপনাকে
এডমিশন দিয়ে সেখানে ভর্তি হয়ে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হবে। যদি আপনি
ভ্রমণের জন্য যান তাহলে আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্থিক সমর্থ্য থাকতে হবে অর্থাৎ
পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা পয়সা থাকতে হবে ।
তো এখন আপনাকে আবেদনের জন্য যে সকল ডকুমেন্টস লাগবে সে সকল ডকুমেন্ট সম্পর্কে
জানব অবশ্যই আপনাকে একটি ভাল পাসপোর্ট থাকতে হবে অর্থাৎ বৈধ পাসপোর্ট রাখতে হবে।
আপনি যদি অন্য কোন দেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই একটা জিনিস থাকতে হবে সেটি হল
ব্যাংক স্টেটমেন্ট অর্থাৎ আপনার ব্যাংক আর্থিক সামর্থক প্রমাণ।
অনলাইনে আবেদনের জন্য আপনাকে (IRCC) এই ওয়েবসাইটে ভেতর থেকে আপনি খুব সহজেই
অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন ভিসার জন্য। আবেদনের তিন থেকে চার মাসের সময়
লাগবে আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য। যদি আপনি আবেদন করতে সমস্যা হয় কোন
জায়গার তাহলে আপনি অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নিয়ে আবেদনটি করতে পারেন।এই ভাবে
আপনি কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ থেকে পেয়ে যাবেন।
কানাডা ভিসা খরচ
কানাডা ভিসা খরচ জানবো কোন ভিসা তে গেলে কেমন খরচ হয় সে সম্পর্কে জানব আমরা
স্টুডেন্ট, ট্যুরিস্ট, ওয়ার্ক , পার্মানেন্ট ভিসা কোনটিতে কেমন
খরচ পড়বে সকল বিষয়ে আলোচনা করব তো চলুন শুরু করা যাক এই চারটি বিষয়ের মধ্যে
কেমন পরিমাণে খরচ পড়বেঃ
স্টুডেন্ট ভিসাঃ আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডাতে যেতে চান তাহলে আবেদন
করতে খরচ পড়বে ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনার
বায়োমেট্রিক্স এর জন্য খরচ পড়বে আপনার ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মত।
ভিসার আবেদনের জন্য আর কোন খরচ আপনাকে করতে হবে না। এটুকু খরচের মাধ্যমে আপনি
স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।
টুরিস্ট ভিসাঃ টুরিস্ট ভিসা যাওয়ার জন্য আপনার আবেদন থেকে শুরু করে
বায়োমেট্রিক্সের যে সকল খরচ পড়বে। প্রথমত আপনার আবেদনের জন্য খরচ হবে ৭
থেকে ৮ হাজার টাকার মত। এই টাকার মধ্যে আপনি আবেদন করতে পারবেন। এবং আপনার
বায়োমেট্রিক এর জন্য খরচ পড়বে ৭০০০ টাকা। একটু খরচের মধ্যে আপনি টুরিস্ট ভিসায়
আবেদন করতে পারবেন।
ওয়ার্ক ভিসাঃ আপনি যদি ওয়ার্ক ভিসাতে কানাডাতে যেতে চান তাহলে আপনার
যেমন পরিমাণে খরচ পড়তে পারে। প্রথমত আপনাকে আবেদন করতে 11 থেকে 13হাজার
টাকার মত খরচ পড়বে। এই টাকার মধ্যে আপনি আবেদন করতে পারবেন
এবং আপনার বায়োমেট্রিক স এর জন্য খরচ পড়বে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার
মতো।
পার্মানেন্ট ভিসাঃ আপনি যদি চান পার্মানেন্ট ভিসাতে কানাডাতে যেতে তাহলে
আপনার আবেদনের জন্য খরচ পড়বে এক লাখ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
টাকার মধ্যে আপনি পার্মানেন্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এবং প্রতিবারের মত
বায়োমেট্রিক্স এর খরচ পড়বে ৭ হাজার থেকে আট হাজার টাকা, এই টাকার মাধ্যমে আপনি
পার্মানেন্ট ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম
কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম - কানাডা ভিসা চেক করার জন্য দুই নিয়মে চেক করা
যায়। আপনি অনলাইনে চেক করতে পারবেন আবার যদি মনে হয় অনলাইনে করা সম্ভব না তাহলে
আপনি অফলাইনে ও চেক করে নিতে পারবেন। যদি আপনি অনলাইনে চেক করতে চান তাহলে আপনি
আবেদনের সময় যে একাউন্টটি খুলেছিলেন সে একাউন্টটিতে লগইন করতে হবে।
লগইন করার পর মেন থেকে আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি চেক করতে হবে। সেখান থেকে আপনার
আবেদনকৃত সকল তথ্য দেখতে পাবেন। আর যদি আপনি মনে করেন আপনি অনলাইনে দেখা সম্ভব
হচ্ছে না। তাহলে আপনি অফলাইনে কিভাবে এটি দেখবেন তো চলুন এ বিষয়ে জেনে নেই।
অফলাইনে দেখার জন্য তাদের পার্সোনাল ইমেইলে আপনাকে এসএমএস করতে হবে।
অর্থাৎ আপনি তাদের IRCC কন্টাক্ট নাম্বারে যোগাযোগ করে এটি জেনে নিতে পারবেন খুব
সহজেই। অথবা ঢাকার ভিএফসি অফিস থেকে আপনি তাদের কন্টাক্ট নাম্বারে ফোন করে
ডাইরেক্ট জেনে নিতে পারবেন যে আপনার ভিসা কি সম্পন্ন হয়েছে কি হয়নি। যদি আপনার
কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনি IRCC অফিসে যোগাযোগ করুন.
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে হলে আপনাকে যে সকল কাজ করতে হবে। সরাসরি
আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কানাডা ভিসা চেক করতে পারবেন না। এর জন্য আপনি
ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে আপনি পাসপোর্ট এর স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন বিএফএসএফ
ট্রেকিং নাম্বার আপনার ভিসা আবেদনের সময় দেওয়া আছে সেই রশিতে আপনার দেওয়া
থাকবে।
সেটি ব্যবহার করে আপনি ভিসা চেক করতে পারবেন। ভিসা চেক করার সময় অবশ্যই
আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে ঠিক করতে হবে। যদি আপনার ভিসা
সম্পন্ন হয়ে যায় তাহলে আপনাকে ইমেইলে অথবা এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া
হবে।
অথবা আপনি তাদের সাথে সরাসরি তাদের নাম্বার এ যোগাযোগ করে আপনি যেনে নিতে
পাবেন।তাদের ওয়েবসাইটে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করার সকল মাধ্যম পেয়ে
যাবেন।সেখানে আপনারা তাদের নাম্বার পেয়ে যাবেন সেখান থেকে আপনি তাদের নাম্বার এ
কথা বলে জেনে নিতে পারবেন ।
শেষ কথা
কানাডা ভিসা ফ্রি ফর্ম বাংলাদেশ এই পোস্টটি যদি আপনি সম্পূর্ণভাবে পড়ে থাকেন
তাহলে আপনার মনে আর কোন অজানা প্রশ্ন থাকবে বলে আমার মনে হয় না ।কেননা এই পোস্টে
আমি কিভাবে কানাডা পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হয়। পাসপোর্ট করতে কত টাকা খরচ
হয় থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি।
আপনি যদি কানাডা ভিসা ফ্রি ফর্ম বাংলাদেশ এই পোস্টটি সম্পন্ন পরে থাকেন এবং
পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করবেন। তাহলে তাদের অজানা তথ্যগুলো এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে
পারবে। যদি আপনি চাচ্ছেন কানাডা যাওয়ার জন্য তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ আমি মনে করি।
যদি আমার এই পোস্টে কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই সেটি কমেন্ট বক্সে
জানিয়ে দিবেন অথবা আমার যোগাযোগ পেজে আমার সাথে যোগাযোগ করার সকল ধরনের লিংকসমূহ
দেওয়া আছে সেখান থেকে খুব সহজে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। আপনার যদি কোন
জায়গায় বুঝতে সমস্যা থাকে তাহলে আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে সেটি বুঝে নিতে
পারবেন।
হেল্থ কেয়ারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url