কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে
আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের অভাবে ঘামে। গা ঘামা একটি বিরক্তকর বিষয় তবে
আমাদের ভিটামিন বি ১২ এই ভিটামিন টার অভাবে অতিরিক্ত গা ঘামে। আমরা এই
পোস্টে জানবো, কি কি করলে অথবা কোন কোন উপায়ে আমরা আমাদের এই সমস্যাটা
সমাধান করতে পারব। আসলেই অধিকাংশ মানুষের কাছেই এই গা ঘামা বিরক্তিকর বিষয় মনে
হয়।
আমাদের শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে অতিরিক্ত গা ঘামে। অধিকাংশ মানুষ
গা ঘামার কারণে বিরক্তবোধ মনে করে। ঘামের বিরক্তিকর এই অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার
জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি।
পেজ সূচিপত্র : কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে
কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে
কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে ? ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে আমাদের পর্যাপ্ত
পরিমাণে গা ঘামে।
যদি আমাদের শরীর খুব বেশি ঘামে একটুতেই আমাদের শরীল ঘেমে যায় তাহলে বুঝে
নেবেন আপনার শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব রয়েছে।
ভিটামিন বি ১২ এর পাশাপাশি আরো অনেক অনেক কারণে গা ঘামে অতিরিক্ত টেনশন, অতিরিক্ত
পরিশ্রম, গরম এইগুলার কারণে ও গা ঘামে। তাই আমাদের বিনা কারণে গা ঘাম থেকে
মুক্তি পেতে হলে ভিটামিন বি ১২ যে সব খাবারের রয়েছে সে সকল খাবার বেশি বেশি
খাওয়া দরকার।
আমাদের গা ঘামার আরো কিছু কারণ সেগুলো হলো দুশ্চিন্তা, রাগ,, উত্তেজনা এরকম আরো
বিভিন্ন কারণে আমাদের গা ঘামতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুমের ওষুধ সেবন
করলে এই সমস্যাটা হতে পারে। তো এমন অবস্থায় আমাদের সকলের ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ
খাবার খাওয়া উচিত।এবং এই সম্পর্কে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
শীতে ঘাম হওয়া কোন রোগের লক্ষণ
গরমের দিনে গা ঘামবে স্বাভাবিক। কিন্তু যদি শীতের দিনে গা ঘামে
তাহলে কি স্বাভাবিক? না ,শীতের দিনে কোন কারণ ছাড়াই গা ঘামবে সেটা
স্বাভাবিক না। যদি শীতের সময় কোন কারণ ছাড়াই আমাদের গা ঘামে তাহলে বুঝে
নেবেন আপনার শরীরের কোন একটা সমস্যার কারণে অথবা কোন একটা রোগের লক্ষণের কারণে এই
সমস্যাটা অর্থাৎ শীতের মধ্যে অযথা গা ঘামাটা দেখা দিচ্ছে।
যাদের হার্টের অথবা শ্বাসকষ্ট সমস্যা আছে তাদের সেটির মধ্য শরীরে অতিরিক্ত
ঘাম আসবে। আবার অনেকের দেখা যায় রাতে ঘুমানো অবস্থায় গা
ঘেমে যায়। বুঝে নেবেন যদি অযথাই গাল হামে তাহলে এটি কোন রোগের
লক্ষণ। যারা স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত তারা একটু খেয়াল করে দেখবেন তাদের একটু
বেশি।
যদি রাতে ঘুমানো অবস্থায় গা ঘামে এবং তার পাশাপাশি জ্বর হয় তাহলে বুঝিয়ে
নেবেন আপনার ওজন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেটাই ঘাম হওয়ার কিছু কারণ
হলো বিভিন্ন ধরনের তেল জাতীয় খাবার খাওয়া। এছাড়া ভিটামিন বি ১২ এর অভাবেও
আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণে গা ঘামে
অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তির উপায়
অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় - অনেক সময় দেখা যায় স্বাভাবিকের
তুলনায় একটু বেশি আমাদের গা ঘামে। এটি স্বাভাবিক কিছু না এটি হতে পারে কোন এক
রোগের লক্ষণ। তো আমাদের যদি এমনটা হয় তাহলে এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
সম্পর্কে আমরা জানবো।
অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় গুলো হলো যদি আমাদের মনে হয় যে
আমাদের শরীর স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশিই ঘামছে তখন আমাদের বুঝতে হবে আমাদের
শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাবের কারণে আমাদের শরীর বেশি ঘামছে। এমন
অবস্থায় আমাদের ভিটামিন বি ১২ যুক্ত খাবার খাইতে হবে।
বেশি বেশি করে শাকসবজি ফলমূল এগুলো খেতে হবে। আবার আমাদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত
পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে অতিরিক্ত ঘাম থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়। আমরা সকলেই জানি, অতিরিক্ত ঘাম আমাদের সকলের বিরক্তিকর
মনে হয়। আবার এই অতিরিক্ত ঘাম থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু সৃষ্টি হয়।
যেগুলো নতুন নতুন রোগ সৃষ্টি করে এতে আমাদের শরীরে আরো নতুন নতুন অসুখ দেখা দেয়।
যার জন্য আমাদের সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং ভিটামিন বি ১২ যুক্ত
খাবার খেতে হবে এবং বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে। এতে করে দেখা যাবে আমাদের
শরীর আগের তুলনায় স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারণ কি
অতিরিক্ত মাথা ঘাম অনেক কারণ রয়েছে এর মধ্যে হল
সাধারণত হাইপারহেড্রক্সিসিস নামে পরিচিত একটি অবস্থার কারণে গড়তে
পারে। যেখানে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘাম উৎপন্ন করে। উচ্চ রক্তচাপ
চিকিৎসা সংক্রান্ত জর থেকে ও মাথা ঘামতে পারে।
মাথা ঘামলে কি চুল পড়ে ? গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরমে কারণে যখন
আমাদের শরীর ঘামে শরীরের সাথে সাথে মাথা ও ঘেমে যাই। আর মাথা ঘামলে আমাদের মাথা থেকে চুল পড়ে। সাধারণত গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরমের কারণে সচরাচর সবারই কম বেশি শরীর
ঘামে। কারো একটু বেশি আবার কারো একটু কম। এই শরীর আমার সাথে সাথে আমাদের মাথাও ঘামে। যার কারণে দেখা যায় চিরুনি দিয়ে মাথার চুল আঁচড়ানোর সময় অনেক চুল মাথা
থেকে উঠে যায়।
তবে কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে আপনার এই চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন সেটা
হল, একটি পরিষ্কার পাত্রে লেবুর রস নেই। সেটিকে ভালোভাবে আমাদের চুলে লাগিয়ে নি করে নেই। চলে লেবুর রস লাগানোর পর 15 থেকে 20 মিনিট অপেক্ষা করি। অপেক্ষা করার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে মাথাটা ভালো হবে ধুয়ে
ফেলি ।
মাথা ধরে ফেলার পর চুল মুছে নিয়ে মাথায় একটু তেল দেই মাথা ঠান্ডা করার
জন্য। তেল দেওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর একটি শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে
নেই। এই প্রক্রিয়াটি ৭ থেকে ১০ দিন ব্যবহার করার পর দেখবেন আপনার চুল পড়া বন্ধ
হয়ে গেছে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার কিছুটা হলেও উপকার
হয়েছে। আমি এই পোস্টে কোন ভিটামিনের কারণে গা ঘামে, এবং গা ঘামলে রোগের লক্ষণ সহ সকল
বিষয়ে আলোচনা করেছি আশা করি আপনার যদি এরকম কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে আমার এই
পোস্টটি পড়ে আপনার যেটা হলে উপকার হবে।
পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেন।আর যদি ওপরের
কোন বিষয়ে বুঝতে সমস্যা কিংবা কোন প্রশ্ন করার থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে এসে করে
যাবেন। অথবা আমাদের
যোগাযোগ পেজে
আমাদের সাথে যোগাযোগ করার সকল ঠিকানা দেওয়া আছে সেখান থেকে আমাদের সাথে সরাসরি
যোগাযোগ করতে পারবে।
হেল্থ কেয়ারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url